সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো ঝুঁকিমুক্ত,সচেতনতার আহ্বান
আজ বুধবার সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান বলেছেন, বিভাগে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো আশঙ্কাজনক নয়, তবে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভাগজুড়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যু শুন্য, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা 10, সনাক্তকৃত ৯১ জন; তাদের সবারই ঢাকা বা অন্য ডেঙ্গু প্রবণ এলাকায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
প্রাথমিক অবস্থায় এসব রোগী রাজধানী ঢাকা থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সিলেটে আসে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। এখনো কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
ডা. মো. আনিসুর রহমান বলেন, এডিস মশার লার্ভার উৎপত্তিস্থল নিয়মিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) উদ্যোগে মশা নিধনে নগরব্যাপী কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে। একই সাথে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে সার্বিক প্রস্তুতি আরো জোরদার করা হচ্ছে।
তীব্রতার ওপর ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’-এ তিনটি ক্যাটাগরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অধিকাংশ রোগী ‘এ’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত, যাদের লক্ষণ হালকা, শুধু জ্বর থাকে। এ ধরনের রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই এবং তারা বাড়িতে বিশ্রাম নিলেই সেরে ওঠে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর সাত দিনের মধ্যেই নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। এ সময় রোগীকে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে, পর্যাপ্ত বিশ্রামে রাখতে হবে এবং প্রচুর পানি ও তরল খাবার দিতে হবে। রোগীর পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন দুই, জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া হাসপাতালে এক, হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে তিন, লাখই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চার জন। বাকিরা বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন। জেলা ওয়ারি হিসেবে সনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা সিলেটে ২৫, সুনামগঞ্জে ২০, মৌলভীবাজারে আট, হবিগঞ্জে ৩৬ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আরো বলেন, এডিস মশা যেহেতু ড্রেনের পানিতে জন্মায় না বরং বাড়ি-ঘরের মধ্যে বা আশেপাশে তিন দিনের বেশি সময় জমে থাকা পানিতে জন্মায়, সেকারণে মশার ওষুধ ছড়ানোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জনসচেতনতা। এসময় সিলেটে যেসব প্রবাসীর বাড়ি তালাবদ্ধ থাকে তাঁদের কেয়ারটেকার কিংবা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে সেগুলো নিয়মিত পরিস্কার করার আহ্বান জানান তিনি।