প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১১, ২০২৫, ৭:৫১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৫, ২:৪৭ পি.এম
রাতের আতঙ্ক-পুলিশের বাড়িতে ডাকাতি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সম্প্রতি একটি বাড়ির কেয়ারটেকারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ডাকাতির রেশ না কাটতেই এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ফরিদপুরের মানিকদহ ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামে আসাদুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩ টার দিকে উক্ত ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁর মা ও চার শিশু-কিশোরকে ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে সবাইকে রশি দিয়ে বেঁধে পুরো বাড়িতে তাণ্ডব চালায় ডাকাত দল। জানা যায় ঐ পুলিশ সদস্য আসাদুল গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত আছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন,সম্প্রতি পাশের গ্রাম আলেখারকান্দায় ফাঁকা বাড়িতে এক কেয়ারটেকারকে কয়েকদিন আগে নৃশংসভাবে হত্যার রেশ না কাটতেই এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। পুরো উপজেলায় চুরি-ডাকাতির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। পুলিশের বাড়িতে ডাকাতির আগে ঐ রাতেই আশপাশের কয়েকজনের বাড়িতে লোহার গ্রীল কেটে বসতঘরে ঢুকার চেষ্টা চালায় ডাকাত দল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা প্রকাশ করে তারা বলেন, গত কয়েকদিন থেকে ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের।
এক সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, রাত তখন ৩ টা ২০ মিনিট। হঠাৎ অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন মুখোশধারী বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছে। এ সময় একজন দেয়াল বেয়ে উঠে সিসিটিভির তার ছিঁড়ে ফেলে। অন্য আরেকটি ফুটেজে দেখা যায়, বাড়ির মূল ফটক দিয়ে অস্ত্র নিয়ে ঢুকছে তিনজন মুখোশধারী। কিছুক্ষণ পর একজন লোহার পাইপ হাতে নিয়ে দরজার সামনে থাকা সিসিটিভিও ভেঙে ফেলে। এরপর ঘরে ঢোকে ডাকাতরা।পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘরের আলমারিতে রাখা নগদ সোয়া ২ লাখ টাকা ও প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণলঙ্গকার লুট করে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। আসাদুলের স্ত্রী সায়লা ইসলাম সমকালের বরাতে জানান, গত রাতে ডাকাতির ঘটনার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। হঠাৎ এমন ঘটনা তাদের চিন্তা ভাবনার বাহিরে ছিল। শিশু-কিশোরদের ভয় ও আতঙ্ক এখনো কাটছেই না।
ঐ থানার ওসি মোকছেদুর রহমান জানান, এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়েছি এবং ইতিমধ্যে পুলিশ কয়েকটি সিসিটিভির ফুটেজসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত