গত ৫ আগষ্টের পর থেকে মাত্র পাচঁ মাসে কানাইঘাটে ৭টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । আর এই হত্যাকান্ডগুলো বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে । এর মধ্যে বহুল আলোচিত হত্যাকান্ড হচ্ছে শিশু মুনতাহা হত্যা সহ প্রকাশ্যে ছাত্রদল নেতা কে খুন। কানাইঘাট নৃশংস হত্যাকান্ড দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত ৫ আগষ্ট বৈশ্বম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক তার পর পর দেশের আইন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় দিন দিন বেড়েই চলছে খুন,ঘুম,লুটপাট সহ নানা অপকর্ম। সেই সাথে সিলেটের কানাইঘাটে গত ৫ আগষ্টের পরে এই পর্যন্ত সাতঁটি নৃশংস হত্যাকান্ড হয়েছে এবং মামলা ও হয়েছে কয়েকটি। একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটার কারনে জনমনে বেড়েছে আতংক। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এমন অবস্থার সাধারন মানুষের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টির কথা সামনে আসছে । কানাইঘাটে হত্যাকান্ড ঘটনায় এই পর্যন্ত কয়েকটি মামলা হলে কয়েকটি মামলার কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করেছিলো কানাইঘাট থানাপুলিশ। এর পর ও থামছে না এই হত্যাকান্ড যত দিন যাচ্ছে কানাইঘাটের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। কানাইঘটের সচেতন সমাজের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ হলে উনারা বর্তমান সরকার কেই দোষারোপ করেছেন কেননা বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের ৫মাস অতিবাহিত হলে ও ফিরেনি দেশের আর্থসামাজিক দিক সহ অন্যান্য কোনো কিছুতে। দেশ সংস্কারের কাজ করছেন ঠিক কিন্তু আইন বিভাগের দিকে তার কঠোর দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন ছিলো । কানাইঘাটে পূর্বে এরকম ঘটনা কয়েকমাসে এতোগুলা হত্যাকান্ড কখোনও হয় নি। আইন অধিকার গুলোকে সর্বোচ্চ গুরত্ব না দিলে পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে এবং মানুষ তার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভয়ে আতংকে থাকবে । দিন দিন খারাপ কাজ গুলো বাড়তে থাকবে এতে করে মানুষ আস্থা হারাবে এই সরকারের প্রতি। বহুল আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিলো শিশু মুনতাহা হত্যাকান্ড,আপন ৩ ভাই সহ একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু,চাচাতো ভাইকে গলাকেটে হত্যা,প্রকাশ্যে ছাত্রদল নেতা খুন,সিএন,জি চালক আলমগীর খুন,আইস্ক্রিম বিক্রেতা লাল মিয়া হত্যা সহ নানান খুন এবং অপকর্ম । এক পর্যালোচনায় দেখা যায় শুধু নভেম্বরে’ই খুন হয়েছে ৫টি এবং সেপ্টেম্বর ১টি ও জানুয়ারিতে ১টি সহ মোট ৭টি হত্যাকান্ড ঘটেছে ।